নয়াদিল্লি: জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) ২৪ নভেম্বর থেকে জম্মুর বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদযাত্রী ও ব্যাটারিচালিত গাড়ি যাওয়ার জন্য নতুন পথ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী শ্রাইন বোর্ড। আজ বিচারপতি এম বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তর বেঞ্চে শুনানির সময় শ্রাইন বোর্ডের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি বলেন, এখন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার দু’টি রাস্তা আছে। তৃতীয় রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে। সেটা ২৪ তারিখের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। এরপরেই এনজিটি-র নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।


বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার নতুন রাস্তা তৈরি ছাড়াও প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীকে মন্দিরে যেতে না দেওয়ারও নির্দেশ দেয় এনজিটি। আরও বলা হয়, নতুন রাস্তায় কোনও ঘোড়া বা খচ্চর যেতে দেওয়া হবে না। কেউ বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার রাস্তা বা কাটরা শহরের বাসস্টপ নোংরা করলে ২,০০০ টাকা জরিমানা করতে হবে।

সমাজকর্মী গৌরী মাউলেখি বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার রাস্তায় ঘোড়া ও খচ্চর চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানান। তিনি বলেন, এর ফলে পদযাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্কদের পক্ষে এটা বিপজ্জনক। কাটরা থেকে বৈষ্ণোদেবীর পথে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রাণীকে ব্যবহার করার ফলে দূষণ ছড়াচ্ছে। গৌরীর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই নির্দেশিকা জারি করে এনজিটি।