নয়াদিল্লি: ধর্ম বদলে ইসলাম গ্রহণ করা হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম যুবকের বিয়ে ভেঙে দেওয়া কেরল হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। কেরল হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
হাইকোর্ট ওই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে কিনা, সেটাই দেখা হবে বলে জানান বিচারপতিরা।
কেরলের হিন্দু মেয়েটি, শাফিন জাহান নামে মুসলিম যুবকটিকে বিয়ে করায় কোনও কোনও মহল থেকে কেরল হাইকোর্টে সওয়াল করা হয়, এটি লাভ জিহাদ অর্থাত্ হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে ধর্ম বদল করিয়ে মুসলিম বানিয়ে মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত হচ্ছে। এই ঘটনাটিও সেরকম।
এও বলা হয়, শাফিন নামে ছেলেটি আসলে পুতুলমাত্র, ওকে সামনে রেখে মুসলিম হওয়া হিন্দু মেয়েটিকে আসলে নিজেদের বাহিনীর জন্য রিক্রুট করেছে সিরিয়ার আইএস সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী।
হাইকোর্ট বিয়ে নাকচ করে দিলে শাফিন সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেন সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি হাইকোর্ট লাভ জিহাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ ব্যাপারে এনআইএ তদন্তের নির্দেশও দেয়।
কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে বৃহত্তর চক্রান্তের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ কথা জানানোর পর বেঞ্চ বলে, এর পিছনে কোনও ছক থাকুক বা না থাকুক, প্রশ্ন হল, হাইকোর্ট সংবিধানের ২২৬ ধারার আওতায় দেওয়া
ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিয়ে ভেঙে দিতে পারে কি? ৯ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
মেয়েটির বাবা দাবি করেছিলেন, ধর্মান্তরণ ঘটানোর সুগভীর ছক তৈরি করেছে ইসলামি মৌলবাদীরা। তাঁর মেয়ে এর শিকার।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, ২৪ বছরের মেয়ের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার, সে কী করবে, তা ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা বাবার নেই।