নয়াদিল্লি: দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে বিবাদমান একটি মামলার শুনানির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পে আধার বাধ্যতামূলক করা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা সম্ভব নয়। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট।


প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে সোমবার মামলাকারীর আইনজীবী শ্যাম দিবান দাবি করেন, যতদিন না পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত হচ্ছে, ততদিন অন্তর্বর্তী রায়ে কেন্দ্রের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।


মামলাকারীর আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল পাল্টা দাবি করেন, এমন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এধরনের নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি যোগ করেন, ইতিমধ্যেই আধার বাধ্যতামূলক করার সময়সীমা ফের বৃদ্ধি করে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র।


এরপর তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, এক্ষেত্রে এমন (অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ) নির্দেশ একমাত্র সাংবিধানিক বেঞ্চই নিতে পারে। এদিন বেঞ্চ জানায়, লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে প্রশাসনিক প্রধান করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দিল্লি প্রশাসন। বর্তমানে মামলার শুনানি চলছে সাংবিধানিক বেঞ্চে। ফলে, ওই শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা সম্ভব নয়।


সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের নয়-সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে গোপনীয়তার অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বলে উল্লেখ করে। এরপরই বিভিন্ন সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা নিতে আধারকে বাধ্যতামূলক করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়। মামলাকারীদের যুক্তি, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।