নয়াদিল্লি: শপথগ্রহণের পর বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দিতে হবে। বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণ স্থগিত রাখার জন্য কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে গোয়া ইস্যুতে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ আজ বিকেল ৫টায় মনোহর পর্রীকরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ায় কোনও বাধা রইল না।


শীর্ষ আদালত বলেছে, সবথেকে বয়স্ক বিধায়ক প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন। ৪০ বিধায়কের শপথগ্রহণের পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হবে শক্তিপরীক্ষা।

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক থাকলে সরকার গড়তে আগে রাজ্যপালের কাছে যাননি কেন। গোয়া ইস্যুতে কংগ্রেসকে প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, রাজ্যপাল তারপরেও সুযোগ না দিলে আপনারা ধরনায় বসতে পারতেন। প্রয়োজনীয় বিধায়ক সমর্থন নেই, তাই সরকার গড়ার উদ্যোগ নেননি আপনারা।

সুপ্রিম কোর্টে গোয়া ইস্যুতে কংগ্রেসের আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হল। গোয়ার রাজ্যপাল মৃদুলা সিংহর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল কংগ্রেস। রাজ্যপালের অফিস বেলা দেড়টায় সময় দিয়েছে তাদের। পাশাপাশি গোয়া ও মণিপুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে আজ সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চলেছে রাহুল গাঁধীর দল।

কংগ্রেসের অভিযোগ, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তারা হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যপাল মৃদুলা সিংহ সরকার গড়তে প্রথম আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিজেপিকে। গতকাল রাতে আম আদমি পার্টিও রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। তাদের অভিযোগ, নিজের সাংবিধানিক অধিকার পালন করার বদলে তাড়াহুড়ো করছেন তিনি। তাঁর উচিত ছিল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে আগে সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া।

সংসদেও আজ গোয়া ও মণিপুরে সরকার গড়ার বিষয়টি তুলবে কংগ্রেস। পাশাপাশি তারা দেখা করবে গোয়ার রাজ্যপালের সঙ্গে। অনুরোধ করবে, যেন তিনি রবিবার রাতে বিজেপিকে সরকার গড়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি আর একবার বিবেচনা করে দেখেন।

তবে বসে নেই বিজেপিও। আরও বেড়েছে তাদের সমর্থক বিধায়কসংখ্যা। সমর্থন করেছেন আরও এক নির্দল বিধায়ক প্রসাদ গাঁওকর। সব মিলিয়ে তাদের পক্ষের বিধায়ক সংখ্যা ম্যাজিক ফিগার ২১ পেরিয়ে ২২-এ পৌঁছে গেল। বিজেপির নিজেদের আছেন ১৩জন বিধায়ক, দুই আঞ্চলিক দল জিএফপি ও এমজিপির মোট ৬ আর নির্দল ৩। একমাত্র এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাওয়ের সমর্থন জোটানোরও চেষ্টা করছে তারা।

উল্টোদিকে কংগ্রেসের ১৭ বিধায়কের একটা অংশ দলের ওপর ক্ষুব্ধ। যেভাবে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও ওপরতলার গড়িমসিতে সরকার গড়ার সুযোগ হাতছাড়া হতে চলেছে, তাতে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছেন তাঁরা।

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হতে ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মনোহর পর্রীকর। যদি সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সরকার গড়ায় সবুজ সংকেত দেয়, তবে ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে তাঁকে।