নয়াদিল্লি: তিন তালাকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পেশ হওয়া আর্জির শুনানি শুরুর জন্য ১১ মে দিনটি ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, গ্রীষ্মকালীন অবকাশে বিষয়টির শুনানি চালাবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।


তিন তালাকের পাশাপাশি মুসলিমদের মধ্যে নিকাহ হালালা ও একাধিক বিয়ের যে চল রয়েছে, তারও বিরোধিতা করে একাধিক পিটিশন পেশ হয়েছে। বিষয়গুলি খুবই গুরুত্ব দাবি করে, মন্তব্য করে বিচারপতি খেহর বলেছেন, শুনানি চালানোর জন্য শীর্ষ আদালত গরমের ছুটি পর্যন্ত বাতিল করতে তৈরি আছে। দরকার হলে এমনকী শনি-রবিবারও শুনানি হতে পারে। বিষয়টি কেন্দ্রের সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে কিনা, ঠিক করুক।

জনৈক সায়রা বানু তিন তালাককে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দিয়েছেন। তালাক-ই-বিদাত, নিকাহ হালালা ও পুরুষের একাধিক বিয়ের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড সু্প্রিম কোর্টে জানিয়ে দেয়, মুসলিম সমাজে চালু রীতিগুলির বিরোধিতা করে পেশ হওয়া পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয় কারণ ওইসব রীতি-নীতি বিচারবিভাগের আওতার বাইরে পড়ে। তাছাড়া, মুসলিম নিজস্ব আইন তৈরি হয়েছে পবিত্র কোরান ও তার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে। সংবিধানের নির্দিষ্ট কিছু ধারার মাপকাঠিতে তার বিচার হতে পারে না। তারা এও বলে, এই রীতিগুলির সাংবিধানিক ব্যাখ্যায় নামার ব্য়াপারে 'বিচারবিভাগের সংযম' থাকাও প্রয়োজন।

গত ৭ অক্টোবর কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে তিন তালাক, নিকাহ হালালা ও বহুবিবাহের বিরোধিতা করে, লিঙ্গ সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার মাপকাঠিতে রীতিগুলি নতুন করে খতিয়ে দেখার কথা বলে। কেন্দ্রীয় ন্যায় বিচার মন্ত্রকের হলফনামায় লিঙ্গ সমতা, ধর্মনিরপেক্ষতার মতো সাংবিধানিক নীতি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চালু প্রথা, ইসলামিক দেশগুলিতে চালু ধর্মীয় প্রথা, দাম্পত্য আইন তুলে ধরে দাবি করা হয় যে, তিন তালাক ও বহুবিবাহের মতো বিষয় খতিয়ে  দেখা উচিত সুপ্রিম কোর্টের।