নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুযোগ পাওয়ার জন্য আধার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পেশ হওয়া একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানি করতে ৫ বিচারপতির বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হবে। বৃহত্তর বেঞ্চে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে পিটিশনগুলির শুনানি শুরু হবে বলে জানাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এ এম খানবিলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ।

এদিন এর আগে কেন্দ্রের আধার সংক্রান্ত নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তুলোধনা করে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্তকে কী করে একটি রাজ্য চ্যালেঞ্জ করে, সেই প্রশ্ন তোলে। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ভাবে আধার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে সম্মতি দেয় বেঞ্চ।

সম্প্রতি ৯ বিচারপতির এক সংবিধান বেঞ্চ গোপনীয়তার অধিকারকে সংবিধানের আওতায় মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। আধারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক আবেদনকারী জানিয়েছেন, এই প্রকল্প গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করছে। আধারের বিরোধিতা করা আবেদনকারীদের পক্ষে প্রথম সারির দুই আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মন্যম ও শ্যাম দিওয়ান পিটিশনগুলির দ্রুত শুনানির আর্জি জানান।

যাদের এখনও আধার হয়নি, তবে ১২ ডিজিটের শনাক্তকরণ নম্বর পেতে চান, তাদের জন্য সরকারি সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করার সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে গত ২৫ অক্টোবর সর্বোচ্চ আদালতে জানায় কেন্দ্র।

আধারের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করার পদক্ষেপকে সম্পূর্ণ বেআইনি, অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন। সিবিএসই-র পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রেও আধার বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা।

দিওয়ান এর আগে বলেছিলেন, মূল আধার মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি, যা সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া রয়েছে, হওয়া প্রয়োজন। সরকার মোবাইল নম্বর বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করতে 'নাগরিকদের বাধ্য করতে পারে না' বলে তাঁর স্পষ্ট অভিমত।