বিভিন্ন সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুযোগ পেতে হলে আধার নম্বর বাধ্যতামূলক করার কেন্দ্রের প্রয়াসকে চ্যালেঞ্জ করে পেশ হওয়া একগুচ্ছ পিটিশনে গোপনীয়তা রক্ষার ইস্যুটি উঠে এসেছে। আজ এ ব্যাপারেই সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐকমত্যের ভিত্তিতে জানিয়ে দেয়, গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের আওতায় জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
রাহুল ট্যুইট করেন, গোপনীয়তার অধিকারকে ব্যক্তি মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার, মর্যাদার মৌলিক অংশ হিসাবে বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। এই রায় বিরাট আঘাত দিল ফ্যাসিস্তদের। বিজেপির 'নজরদারির মাধ্যমে দমনপীড়ন চালানোর' দর্শনকে 'সজোরে প্রত্যাখ্যান' করা হয়েছে এতে।
পাশাপাশি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, সাধারণ নাগরিকের জীবনে রাষ্ট্র ও তার বিভিন্ন এজেন্সির লাগামছাড়া হস্তক্ষেপ ও নজরদারির ওপর আঘাত এই রায়। বিজেপি সরকার 'উদ্ধত' হয়ে উঠেছিল, চেষ্টা করেছিল গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করার। তার বিরুদ্ধে সংসদ, আদালতে একযোগে সরব হয় কংগ্রেস ও বিরোধীরা।
আজকের শীর্ষ আদালতের রায় ব্যক্তিগত অধিকার, স্বাধীনতা ও মানুষের মর্যাদার প্রশ্নে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বলেও মন্তব্য করেন সনিয়া।