নয়াদিল্লি: একটি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হলে সেই ঘটনার ক্ষত ও স্মৃতি পরবর্তীকালেও তাকে মানসিকভাবে যাতনা দেয়। এর ফলে তার মানসিক বৃদ্ধি ও অনুভূতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ২০১৬ সালে একটি আট বছরের শিশুকন্যার শ্লীলতাহানির মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল দিল্লির একটি আদালত।


ওই মেয়েটির মা অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ২৫ মে নেপালের বাসিন্দা পেশায় একটি কারখানার কর্মী মোহন কুমার বাড়ির কাছেই একটি জায়গায় তাঁর মেয়ের হাত ধরে এক কোণে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে তিনি মোহনকে ধরে ফেলেন। পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। সে অবশ্য আদালতে দাবি করে, পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেনি। তার হাতে থাকা ফোন চেয়েছিল। যদিও আদালত তার দাবি খারিজ করে দেয়।

অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি সীমা মৈনি বলেছেন, ‘মোহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। একটি মেয়ের সম্মান ফুলের সুগন্ধের মতো। একটি ফুলের সুগন্ধ দূর করে দিলে যেমন অবস্থা হয়, একটি মেয়ের মর্যাদাহানি করলে একই ব্যাপার হয়। একটি মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হলে সে শুধু শারীরিকভাবেই আহত হয় না, তার আত্মবিশ্বাস এবং অস্তিত্বও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই মোহনের অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। এই ঘটনাকে হাল্কাভাবে দেখা যাবে না। মোহনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হচ্ছে। তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে।’

বিচারপতি আরও বলেছেন, পকসো আইনের ৩৩(৮) ধারা অনুসারে নির্যাতিতাকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এই টাকা দেবে দিল্লির আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ।