বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম কানাড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিশুটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভীষণই খারাপ হওয়ায় ভর্তির ১০,৫০০ টাকা বেশ কয়েকটি কিস্তিতে নিক লোকমান্য তিলক হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। কানাড়ে বলেন, তা যদি না হয়, তবে তিনিই নিজেই বাচ্চাটির ভর্তির জন্য ওই টাকা দিয়ে দেবেন।
প্রসঙ্গত, বছর চারেকের ওই শিশুটির বাবা ২০১৪ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর একটি লন্ড্রির দোকান ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর স্ত্রী রীতা কানোজিয়ার কাঁধেই পরে গোটা সংসারের ভার। লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাঁকে। এরই মধ্যে সময় হয়ে যায় ছোট ছেলেটিকে স্কুলে ভর্তি করার। বাচ্চাটির দুই দিদিও ওই স্কুলেই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের পাশেই একটি বস্তি এলাকায় তাঁদের বাড়ি। ছোটছেলে কার্তিককেও ওই স্কুলেই জুনিয়র কেজি-তে ভর্তি করতে চান তার মা। কিন্তু ভর্তি করতে যে পরিমান টাকা লাগে, তা দেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই।
শুনানির সময় কোর্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়, তারা যেন শিশুটিকে বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ ১৯৫০০ টাকা ছাড় দেয়। স্কুল তাতে সম্মত হয়। তারা জানায়, শুধুমাত্র ১০,৫০০ টাকা স্কুল ফি দিলেই হবে।
কিন্তু শিশুটির মা জানান, একবারে ওই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই। কয়েকটি কিস্তিতে তা দিতে পারবেন তিনি। কিন্তু সেই আর্জি মেনে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। কানোজিয়া যাতে স্কুল প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও করা হয়।
পুরো বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানায় কোর্ট।
এরই প্রেক্ষিতে এগিয়ে আসেন বিচারপতি। তিনি বলেন, স্কুল যদি কিস্তিতে টাকা দিতে রাজি না হয় তবে তিনিই ভর্তির টাকা দিয়ে দেবেন।