তাতে বলা হয়েছে, প্রাইমারি, মিডল স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলে জিনস পরে আসছেন। প্রয়োজনীয় কাজে ডিরেক্টরেটের দফতরেও তাঁরা জিনস পরেই যাচ্ছেন। কিন্তু কোনও শিক্ষকই যাতে স্কুল বা ডিরেক্টরেটে জিনস পরে না আসেন, ফর্ম্যাল পোশাকে থাকেন, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
তবে কেন এই নিষেধ, তার কোনও কারণের উল্লেখ নেই বিজ্ঞপ্তিতে।
এহেন নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদে সরব হরিয়ানা বিদ্যালয় অধ্যাপক সঙ্ঘ। তাদের সভাপতি ওয়াজির সিংহ জানিয়েছেন, দুদিন আগে এই নির্দেশ এসেছে। তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের পোশাক-বিধি ঠিক করে দেওয়ার সরকারি নির্দেশটি একেবারেই ভুল, অন্যায়। শিক্ষকরা কী পরবেন, সেটা তাঁদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। একজন শিক্ষকের কাজ পড়ানো। তিনি জিনস বা ধুতি-যা খুশি পরেই তা করতে পারেন।
ওয়াজিরের দাবি, আসলে শিক্ষা দপ্তর সংক্রান্ত নানা ইস্যু থেকে নজর ঘোরতেই এহেন সরকারি ফরমান। সরকারের কাজ বাজেট তৈরি করা, কর্মীদের বদলি করা, নতুন নিয়োগ করা। এসব কিন্তু করা হচ্ছে না। আমরা এহেন ফতোয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ১৬ জুন পঞ্চকুল্লায় শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করব।
কংগ্রেস নেত্রী শোভা ওঝা এই ফরমানকে ইস্যু করে হরিয়ানার মনোহর লাল খাট্টার সরকারকে 'মহিলা-বিদ্বেষী' আখ্যা দিয়েছেন।
অতীতেও হরিয়ানার মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতর মহিলা কর্মীদের শালীন পোশাক পরে কাজে আসতে বলেছিল। তাদের কর্মস্থলে জিনস, টি-শার্ট পরে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। পরিবর্তে তাদের শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরতে বলা হয়। যদিও নানা মহলের আপত্তিতে সেই নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।