রাজকোট: ১৬৪ বছর চলার পর চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাজকোটের আলফ্রেড হাই স্কুল, যেখানে নিজের ছাত্রাবস্থার একটি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধী। স্কুলের জায়গায় সেখানে একটি জাদুঘর হবে।


মোহনদাস গাঁধী হাই স্কুল নামেও পরিচিত গুজরাত সরকার পরিচালিত আলফ্রেড হাই স্কুলকে মিউজিয়াম করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল গত বছর। রাজকোট পুর কর্তৃপক্ষের সেই প্রস্তাব মেনে নেয় গুজরাত সরকার। জানা গিয়েছে, ১৮৮৭ সালে এই স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হন মহাত্মা গাঁধী। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮।


সরকারের সবুজ সঙ্কেত মিলতেই বর্তমানে পাঠরত প্রায় ১২৫ জন পড়ুয়াকে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট দিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। জেলা শিক্ষা আধিকারিক রেবা পটেল জানান, পড়ুয়ারা যাতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারে, তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


জানা গিয়েছে, স্কুল বিল্ডিংকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হবে। সেখানে গাঁধীজি, সর্দার বল্লবভাই পটেল সহ বহু বিশিষ্টজনদের জীবনের বিভিন্ন নিদর্শন তুলে ধরা হবে।



প্রসঙ্গত, ১৮৫৩ সালের ১৭ অক্টোবর ব্রিটিশ আমলে এই স্কুল শুরু হয়েছিল। প্রথমদিকে এটি সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছিল। ১৮৭৫ সালে স্কুলের বর্তমান বিল্ডিং তৈরি করে দিয়েছিলেন জুনাগড়ের নবাব। তখন তিনি ডিউক অফ এডিনবরা যুবরাজ আলফ্রেডের নামে স্কুলের নামকরণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্কুলের নাম পরিবর্তন করে মোহনদাস গাঁধী হাই স্কুল রাখা হয়।


তবে, পঠনপাঠনের গুণমানের দিক দিয়ে খুব একটা সুনাম ছিল না মহাত্মা গাঁধীর মাতৃশিক্ষায়তনের। কয়েক বছর আগে, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসেছিল স্কুলের প্রায় ৬০ পড়ুয়া। কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।