নয়াদিল্লি: শিশু পড়ুয়াদের সুরক্ষিত পরিবেশ দেওয়া এবং প্রাপ্তবয়স্করা যাতে তাদের কোনও বিপদে না ফেলে তা নিশ্চিত করা স্কুলেরই দায়িত্ব। দিল্লি হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেছে। পাশাপাশি, একটি বেসরকারি স্কুল পড়ুয়াদের যৌননিগ্রহের অভিযোগের ঘটনায় যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আদালত।


বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি দীপা শর্মাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, স্কুল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে সমাজের জন্য শিশুদের গড়ে তোলা হয়। তাই পড়ুয়াদের মনস্তাত্ত্বিক, সচেতনতামূলক ও আচরণগত উন্নতির জন্য সুরক্ষিত ও সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলা স্কুলেরই দায়িত্ব।

ওই বেসরকারি স্কুলের এক গানের শিক্ষকের কয়েকজন ছাত্রীর দায়ের করে। সেই অভিযোগ পুলিশের কাছে না পাঠিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে তীব্র তিরস্কার করেছে আদালত। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই আচরণে তাঁরা স্তম্ভিত বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতিরা।

আদালত বলেছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ যেভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েই দায়িত্ব সেরেছেন। অভিযুক্ত পদত্যাগ করলে কর্তৃপক্ষ সম্ভবত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষের এই আচরণে অপকর্মকারীদেরই উত্সাহ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যে সাহসী পড়ুয়ারা অভিযোগ দায়ের করার সাহস দেখিয়েছে, তাদের নিরুত্সাহিত করা হয়েছে।

আদালত পড়ুয়াদের দায়ের করা সমস্ত অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।