নয়াদিল্লি: বঙ্গোপসাগরে হারিয়ে যাওয়া এ এন-৩২ বিমানের খোঁজ এখনও মিলল না। বায়ুসেনা, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী ঢুঁড়ে ফেলছে বঙ্গোপসাগর। ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, নৌকা, ২টি পসেইডন-৮১, ১টি সি ১৩০ জে সুপার হারকিউলিস ও ৩টি ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফ্ট সমুদ্রে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে বর্ষার জেরে সাগর অশান্ত থাকায় তল্লাশিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিমানের কোনও ধ্বংসাবশেষ এখনও উদ্ধার হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর শনিবার সকালে চেন্নাই পৌঁছেছেন। যেখানে তল্লাশি চলছে, সেই এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন তিনি।


শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় চেন্নাইয়ের তাম্বারাম থেকে পোর্টব্লেয়ারের উদ্দেশে রওনা দেয় ২ ইঞ্জিনের আন্তোনভ এ এন-৩২ বিমানটি। এটি বায়ুসেনার সুলুর বায়ুঘাঁটির ৩৩ স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল। বিমানে মোট ২৯জন ছিলেন, এঁদের মধ্যে ১ মহিলা সহ ৪জন বায়ুসেনা অফিসার, ১৭জন সেনাকর্মী ও ৮ সাধারণ নাগরিক। ছ’জন ক্রুয়ের মধ্যে ছিলেন দুজন পাইলট-ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পুষ্পেন্দ্র বাদসারা ও ফ্লাইং অফিসার পঙ্কজ কুমার নন্দা ও নেভিগেটর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কুনাল বারপাট্টে। এছাড়াও ছিলেন একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার ও দুই টেকনিশিয়ান। উড়ানের ১৬ মিনিট পর বিমানটির সঙ্গে শেষবার যোগাযোগ হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, শেষবার রাডারে তার সন্ধান মেলে চেন্নাইয়ের ১৫১ নটিক্যাল মাইল পূর্বে, তখন সেটি বাঁদিকে ঘুরে আচমকা ২৩,০০০ ফুট নীচে নেমে এসেছিল। জ্বালানি ছাড়া ওই বিমান ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে।

১৯৮৪ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হয় রাশিয়ায় তৈরি বিমানটি। জানা যাচ্ছে, বুড়ো বিমানটিতে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। এ মাসের শুরুতে ওই বিমানে তিন তিনটি ত্রুটি ধরা পড়ে। যদিও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দাবি, সে সব ত্রুটি এমন কিছু বাড়াবাড়ি রকমের ছিল না।