তেজপুর: ২৪-ঘণ্টা পার। এখনও হদিস মেলেনি নিখোঁজ হওয়া সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের।


গতকাল রহস্যজনকভাবে অরুণাচল প্রদেশে নিখোঁজ হয় সুখোই বিমানটি। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযান গতকালই শুরু হয়েছে। সি- ১৩০ বিমান ছাড়াও অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার এবং চেতক কপ্টার নিয়ে আকাশপথে তল্লাশি করা হয়।


পাশাপাশি, ভারতীয় বায়ু সেনার ৪টি দল, সেনাবাহিনীর ৯টি দল এবং স্থানীয় প্রশাসনের ২টি দল পায়ে হেঁটে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমানটির খোঁজ চালান।


যে জায়গায় বিমানটির সঙ্গে তেজপুর ঘাঁটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেখানে ‘রেকি’ বা পরিদর্শন করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে অসমের উত্তরভাগ ও অরুণাচলের আবহাওয়া ভীষণই খারাপ।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা রুটিন উড়ানের জন্য অসমের তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে দু’জন পাইলট নিয়ে ওড়ে সুখোই যুদ্ধবিমান। কিন্তু সকাল ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিমানটির সঙ্গে গ্রাউন্ড সাপোর্টের রেডার ও রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


সেই সময় যুদ্ধবিমানটি তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে ছিল। অসমের সোনিতপুর জেলার ডেপুটি কমিশনার জানান, তেজপুর বেস থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী বিমানটি বিশ্বনাথ জেলার গোহপুর মহকুমার অন্তর্গত ডুবিয়ার ওপর উড়ছিল। এই এলাকাটি ভারত চিন সীমান্তের খুব কাছাকাছি।


এদিকে, ভারতের যুদ্ধবিমান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছে চিন। এদিন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, আমরা কিছুই জানি না। তিনি একইসঙ্গে যোগ করেন, ভারত যেন সীমান্ত শান্তিকে বিঘ্নিত না করার চেষ্টা করে।


উল্লেখ্য, চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ১৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি। এখানে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি সুখোই স্কোয়াড্রন (৩৬ বিমান) রয়েছে। মূলত তিন সীমান্ত সামলাতেই এই স্কোয়াড্রনকে মোতায়েন করা হয়েছে।