নয়াদিল্লি:  তিনটি মহাদেশ, পাঁচটি দেশ, ছ দিন। আজ মোদী মধ্যাহ্নভোজ করবেন আফগানিস্তানের হেরাটে। নৈশভোজ কাতারে।  আগামীকাল খাওয়াদাওয়া করবেন সুইৎজারল্যান্ডে। তারপরের দু'দিন ওয়াশিংটন ডিসি। সব শেষে মেক্সিকো। এই হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশের সফরসূচী, যা আজ শুরু হল আফগানিস্তান সফর দিয়ে। আজই আফগানিস্তানের হেরাটে সালমা বাঁধের উদ্বোধনের মাধ্যমে ভারত ও আফগান সরকারের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে দাবি করেছেন মোদী স্বয়ং।

প্রথমে মোদীর ত্রিদেশীয় সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে ছিল আফগানিস্তান, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরে সফরসূচির মধ্যে সুইৎজারল্যান্ড এবং মেক্সিকোও তালিকাভূক্ত করা হয়। যদিও এই দুই রাষ্ট্রই পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী  বা এনএসজি-তে সদস্য হিসেবে ভারতের অন্তর্ভূক্তির চরম বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর কূটনৈতিক চালে এই দুই রাষ্ট্র পরে সুর নরম করতে বাধ্য হয়। প্রসঙ্গত, আগামী ৯ জুন, এনএসজি-র অন্তর্গত ৪৮টি দেশ দুদিনের অধিবেশনে, এই নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে নয়া আবেদনকারীদের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে বিষদে আলোচনা করবে।

বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, মোদীর সুইৎজারল্যান্ড ও মেক্সিকো সফর গতকালই চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের সফরে সুইৎজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরমাণু সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হওয়ার কথা আছে। ২০০৮ সালে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পরই এনএসজি-তে সদস্যপদ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা ছিল ভারতের। গতমাসেই সেই পদক্ষেপ একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে এনএসজি-তে সদস্যপদের জন্যে আবেদন করে ভারত। তার ঠিক একসপ্তাহ পরেই এনএসজিতে অন্তর্ভূক্তির জন্যে আবেদন করে পাকিস্তান।

ভারতকে এনএসজি-তে সদস্যপদ পাওয়ার জন্যে সবধরনের সাহায্য করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরমাণু ছাড়াও মোদীর এই সফরে সুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে কর সংক্রান্তও একটি চুক্তিও সই হওয়ার কথা আছে, যার মাধ্যমে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের কত কালো টাকা গচ্ছিত আছে সেসম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যখন মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন তাঁর কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে কালো টাকা ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গটিও ছিল।