১৩ তারিখ চোখ দেখাতে ছেলের সঙ্গে গাঁধীনগর সিভিল হাসপাতালে যান রামনলাল। ট্রমা সেন্টারের ঠিক বাইরে তাঁর গাড়ি পার্ক করা হয়। এক নিরাপত্তারক্ষী এসে বলেন, কাকা, ট্রমা সেন্টারের সামনে গাড়ি রাখবেন না।
ব্যস, আর যায় কোথায়! মহামান্য স্পিকারকে স্যার না বলে কিনা কাকা সম্বোধন! নিরাপত্তারক্ষী হয়তো স্পিকারকে চিনতেন না কিন্তু সে কথা শোনে কে! পরেরদিনই তাঁর চাকরি যায়।
স্পিকারের নালিশেই যে তাঁর চাকরি গিয়েছে তা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, রামনলাল ভোরা বয়স্ক মানুষ, রক্ষীর উচিত ছিল, তাঁকে আরও সম্মান দিয়ে কথা বলা। তা না করে তাঁকে কাকা বলে ডাকা হয়, তা তাঁর ভাল লাগেনি। এ জন্য ওই রক্ষীর কাছে লিখিতভাবে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিও করা হয়েছে।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। যে সিকিউরিটি এজেন্সি ওই হাসপাতালে কর্মী সরবরাহ করে, তাদের কনট্রাক্টও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সবই স্পিকারের কাকা ডাক বদহজমের জের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ওই এজেন্সির পাঠানো রক্ষীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল, তাই তাদের সঙ্গে চুক্তি খারিজের সিদ্ধান্ত।