নয়াদিল্লি: নোট বাতিল ইস্যুতে ভোলবদল এনডিএ শরিক শিবসেনার। দলের পক্ষ থেকে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে আজ সমর্থন করা হয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিবসেনা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নোট বাতিলের প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিল শিবসেনা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে শিবসেনার প্রতিনিধি দল। তারপরই নোট বাতিল ইস্যুতে ভোলবদল ঘটালো শিবসেনা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটা নিয়েও এদিন সাফাই গেয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ বলেছেন, ‘এটা ঠিকই যে, মমতার প্রতিবাদ মিছিলে আমরা যোগ দিয়েছিলাম এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখাও করেছিলাম। কিন্তু মমতা যে দাবি করছেন, তার থেকে আমাদের স্মারকলিপি আলাদা ছিল। আমরা নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাইনি। কিন্তু যেভাবে এই সিদ্ধান্ত চালু করা হয় এবং মানুষ এরফলে যে দুর্ভোগে পড়েছেন, সে বিষয়েই আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম’।

রাউত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা তাঁদের অবস্থান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিবসেনার প্রতিনিধি দলের বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল বলে দলের সাংসদ আনন্দরাও আদসুল জানিয়েছেন।

গতকাল সরকার জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে নাবার্ডের মাধ্যমে ২১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। রবি মরশুমের আগে কৃষকরা যাতে ঋণ নিতে পারেন, সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণার কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছে শিবসেনা। তাদের দাবি, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে স্বাভাবিক লেনদেনের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪-র ভোটের শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে টানাপোড়েন রয়ে গিয়েছে। ২০১৪-র ভোটে দুই দলের জোট ভেঙে গিয়েছিল।

এদিন এনডিএ-র শরিকদলগুলির মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য একজন আহ্বায়ক নিয়োগের দাবিও জানিয়েছে শিবসেনা। তাদের বক্তব্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলেও এনডিএ-র একজন আহ্বায়ক ছিলেন। এই দাবির ব্যাপারে তাঁরা মোদীকে বলেছেন বলে জানিয়েছেন আদসুল।