মুম্বই: রাহুল গাঁধী তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করার সময় সৌজন্য, সংযম দেখিয়েছেন বলে জানিয়ে তাঁর প্রশংসা করল শিবসেনা। বিজেপি জোটে থেকেও ইদানীং সব ইস্যুতেই বড় শরিকের উল্টো পথে হাঁটছে উদ্ধব ঠাকরের দল। কংগ্রেস সভাপতির ২০১৯-এ ভোটে জিতলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। বলেছে, রাহুলের ঘোষণাকে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।

রাহুলকে খোঁচা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, দেশবাসী কি এরকম একজনকে প্রধানমন্ত্রী বলে মানবে যিনি অপরিণত, পরিবারতন্ত্রের প্রতিভূ! কিন্তু শিবসেনা এহেন প্রশ্ন উড়িয়ে বলেছে, ২০১৯-এ কংগ্রেস সভাপতি প্রধানমন্ত্রী হবেন না ভোটে হারবেন, তা ঠিক করবে দেশবাসী। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলা তাঁকে ব্যঙ্গ করা গণতন্ত্রসম্মত নয়।
শিবসেনার মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, দেশে যদি গণতন্ত্র থেকে থাকে, তবে বিজেপির উচিত ছিল রাহুলের বক্তব্য স্বাগত জানিয়ে তাঁকে ২০১৯-এর নির্বাচনে তাদের পরাজিত করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া।
কংগ্রেস সভাপতির ভূয়সী প্রশংসা করে তারা বলেছে, ২০১৪-র রাহুল আর আজকের রাহুল এক নন। সমালোচনার মোকাবিলা করে তিনি দৃঢ় মানসিকতা লোক হয়ে উঠেছেন। ২০১৯-এ তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। গুজরাত বিধানসভা ভোটের ফলেই এটা প্রমাণিত। শিবসেনা বলেছে, বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করলেও রাহুল কখনও মোদীকে তাদের স্তরে নেমে আক্রমণ করেননি, প্রধানমন্ত্রী বলে তাঁকে সম্মান করেছেন। রাহুলের রাজনৈতিক বিরোধীদের এটা মানতে হবে যে, তিনি একটা 'নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মান' বজায় রেখেছেন।

মোদীকে খোঁচা দিয়ে শিবসেনা বলেছে, প্রধানমন্তীর এখন জোটধর্মের কথা মনে পড়েছে! বিজেপি বলছে, কংগ্রেসের জোট শরিকদের সঙ্গে কথাবার্তা নেই। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে তার সঙ্গীদের কতটা যোগাযোগ আছে, দেশের স্বার্থে কতগুলি সিদ্ধান্ত একসঙ্গে নেওয়া হয়?