শ্রীনগর: কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি চলাকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ১ শীর্ষ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট পদমর্যাদার ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অভিযুক্ত ডিএসপি-র নাম তনভির আহমেদ। আর্মড পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কর্মরত এই অফিসার হোয়াটসঅ্যাপে পাক গোয়েন্দাদের খবর পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ ব্যাপারে তথ্য পাঠায় জম্মু কাশ্মীর পুলিশকে। এরপরেই ডিজিপি কে রাজেন্দ্র কুমার বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাকে সাসপেন্ড করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

তনভির অবশ্য দাবি করেছেন, মাসখানেক আগে সেনা কম্যান্ডার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে। উপত্যকায় কোথায় কোথায় কত সংখ্যায় পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন রয়েছেন, তার বিশদ তথ্য চায় সে। তিনি নাকি পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়েই এ ব্যাপারে তথ্য দেওয়া শুরু করেন তাকে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ডিএসপি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে গোপন তথ্য পাঠাতেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজরে সেই নম্বরটি আসায় তদন্ত শুরু করে তারা। তারপরেই সামনে আসে তথ্য পাচারের বিষয়টি।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ সামলাতে ব্যস্ত পুলিশ অফিসাররা গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত পাকিস্তানের ফোন পাচ্ছেন। যারা ফোন করে, তারা সাধারণত নিজেদের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার অফিসার বলে পরিচয় দেয়, তারপর জানতে চায় নিরাপত্তা বাহিনীর গোপন তথ্য। কিন্তু পুলিশ অফিসারদের এ ধরনের তথ্য দিতে অস্বীকার করাই দস্তুর। তথ্য জানার জন্য সরকারিভাবে আসার জন্য পরামর্শ দেন তাঁরা।