এই মামলায় ইডি এর আগে শাহকে একাধিকবার সমন জারি করেছিল। কিন্তু তিনি কখনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দেননি। এজন্য চলতি মাসের গোড়ায় শাহর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দিল্লির এক আদালত। সেই পরোয়ানা অনুসারেই শাহকে গ্রেফতার করা হয় বলে এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন।
২০০৫-এর আগস্টে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের হাতে ধরা পড়েছিল হাওলা কারবারি ৩৫ বছরের মহম্মদ আসলাম আসলাম ওয়ানি। জেরায় ওয়ানি জানিয়েছিল যে, সে শাহকে ২.২৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহকে বহুবার সমন পাঠিয়েছিল ইডি।
এ ব্যাপারে শাহর দাবি ছিল, ইডি-র ওই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইডি শাহ ও ওয়ানির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর আওতায় মামলা দায়ের করেছিল।
২০০৫-র ২৬ আগস্ট ৬৩ লক্ষ টাকা ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র সহ ধরা পড়েছিল ওয়ানি। ওই টাকা ও অস্ত্রশস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে সে পেয়েছিল বলে অভিযোগ।
জেরায় ওয়ানি জানিয়েছিল, ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে শাহকে এবং ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে শ্রীনগরের জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার আবু বকরকে। বাকিটা তার কমিশন।
এর আগে গত কয়েক বছরে শাহ ও তাঁর আত্মীয়দের হাতে বিভিন্ন দফায় সে প্রায় ২.২৫ কোটি টাকা যোগান দিয়েছিল বলে শ্রীনগরের বাসিন্দা ওয়ানি পুলিশের জেরায় জানিয়েছিল।