নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর, তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা থেকে শুরু করে জেড নিরাপত্তা প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে এসেছিল সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। কিন্তু এই দলের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা সৌজন্য দেখাননি। দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকও করেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, হুরিয়ত নেতাদের সফর, হোটেল ও নিরাপত্তার জন্য বছরে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। সরকারি অর্থেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা পাঁচতারা হোটেলে থাকেন এবং সরকারি গাড়িতেই যাতায়াত করেন। সারা বছর প্রায় এক হাজার নিরাপত্তা কর্মী তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রাখতে হয়। এছাড়াও তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের দেশে ও বিদেশে চিকিত্সার ব্যয়ও সরকারই বহন করে। কিন্তু এরপরও তাঁরা পাকিস্তানের সুরেই কথা বলেন। এমনকি, জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেন। কিন্তু এবার কেন্দ্র বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের জন্য যে খরচ হয় তাতে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকারকেও তা করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই শ্রীনগরে এসেছিল সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বাড়িতে পর্যন্ত যান প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্য। কিন্তু তিনি দেখা করতে অস্বীকার করেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের এই ব্যবহার ভালোভাবে গ্রহণ করেনি কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। এরফলে তাঁরা পাকিস্তানে যেতে পারবেন না। বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, ইয়াসিন মালিক ও মীর ওয়াইজ উমরের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হতে পারে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হতে পারে।
জানা গেছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃবৃন্দের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।