তবে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক পদস্থ পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, কোন কোন সূত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে হুরিয়ত নেতাদের কাছে অর্থ আসছে, সেটা এখনও জানা যায়নি।
শাহিদুলের কাছ থেকে কাশ্মীর উপত্যকার ১৫০ জঙ্গির নামের একটি তালিকাও এনআইএ বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।
হুরিয়ত নেতাদের অর্থের সরবরাহ বন্ধ করতে অভিযানে নেমে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তদন্ত সংস্থটি জুলাইয়ে শাহিদুলকে আরও ৬ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর সঙ্গে গ্রেফতার করে। নয়ের দশকের গোড়ায় সীমান্ত পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন শাহিদুল। সেখানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর বেশ কয়েকটি ঘাঁটিও নিজের চোখে দেখেন তিনি।
তল্লাসি অভিযানে এনআইএ-র হাতে আসা বেশ কিছু পুরানো ছবিতে তাঁকে হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাহুদ্দিনের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। একটি ছবিতে তাঁকে এ কে-৪৭ হাতে দেখা গিয়েছে, পাশে রয়েছে আরও কয়েকজন সশস্ত্র লোকজন। তারা সন্ত্রাসবাদী বলেই ধারণা এনআইএ-র।
এর আগে এনআইএ দিল্লির এক আদালতে জানিয়েছিল, কাশ্মীরে পাথরবাজদের সংগঠিত করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে অর্থ সরবরাহের রুট তারা ধরতে পেরেছে। জনৈক এনআইএ অফিসার বলেন, আমরা একাধিক ফোন কল ঘেঁটেছি, যাদের গ্রেফতার করে জেরা করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য, প্রযুক্তিগত নথিপত্র আমাদের হাতে রয়েছে।
শাহিদুলকে আজ বাকি ৬ জনের সঙ্গে আদালতে পেশ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছে এনআইএ।