নয়াদিল্লি: উরি হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের ‘শায়েস্তা’ করতে বদ্ধপরিকর ভারত। বুধবার নাম না করে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে ঠিক এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর।


এদিন পর্রীকর জানান, হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি দিতে সরকার গুরুত্ব দিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে উৎস হওয়া ওই হামলার চক্রান্তকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না ভারত।

যুদ্ধ বাঁধলে পাকিস্তান আগে থেকেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। এদিন তাকে  ‘ফাঁকা কলসির আওয়াজ’ বলে কটাক্ষ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বললেন, উরি-কাণ্ডের যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উরি হামলার পরই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, হামলার নেপথ্যে যারা, তাদের ছাড়া হবে না। প্রধামন্ত্রীর ওই বক্তব্য স্রেফ কথার কথা যে নয়, এদিন তা মনে করিয়ে দেন পর্রীকর।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, আমরা সব কথার যথার্থতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাল্কাভাবে নেওয়া ভুল হবে। কী ভাবে সায়েস্তা করা যায়, তার উপায় বের করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ভারত একটি দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন দেশ। তবে তার মানে এই নয় যে, বারবার সীমান্তপার থেকে সন্ত্রাস চলবে, আর আমরা চুপ থাকব।

যদিও, একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ-ও স্বীকার করে নেন যে উরিকাণ্ডের পিছনে বাহিনীর কিছু গাফিলত ছিল। তিনি বলেন, অবশ্যই কিছু তো ভুল হয়েছে। যদিও বিষয়টি ‘সংবেদনশীল’  উল্লেখ করে তিনি বিস্তারিত তথ্য দিতে চান নি।

শুধু বলেন, যখন কোনও ভুল হয়, আপনি তাকে ঠিক করার চেষ্টা করেন, যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এখানেও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি, সেই ভুলের উৎস খুঁজে বের করতে।

এদিকে, উরিকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পর্রীকরের পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস। এদিন দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, পরপর দুটি ঘটনা ঘটল।

অল্প সময়ের ব্যবধানে দেশের দুটি সামরিক প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলা হল। এটা অনভিপ্রেত। এটা দুর্ভাগ্যের। এর দায় ত নিতেই হবে। সিঙ্ঘভির দাবি, পর্রীকর গোয়ার ‘মুখ্যমন্ত্রিত্ব’  নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে তার ফলে দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষতি হচ্ছে।

পর্রীকরকে আক্রমণ করে সিঙ্ঘভি বলেন, ওনার দায়বদ্ধতা, ফোকাস এবং ইচ্ছার অভাব। কারণ, উনি অন্য জায়গায়  (পড়তে হবে গোয়া) মনোনিবেশ করেছেন। তাই ওনার পদত্যাগ করা উচিত।