মুম্বই:  অগাস্টের শেষেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রক্রিয়া ভারতে শুরু করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। ওই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনিকা। সিরাম ইন্সস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পর অগাস্টের শেষের দিকে প্রায় ৫ হাজার ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ওই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভ্যাকসিন আসতে পারে আগামী বছরের জুনের মধ্যেই।
পুণের এই কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, বাজারে ছাড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঝুঁকি নিয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে বলে আশা। উল্লেখ্য, সিরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের বৃহত্তর ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি সোমবার তাদের ভ্যাকসিনের সন্তোষজনক অগ্রগতির কথা জানিয়েছে। সারা বিশ্বজুড়ে যে সব সংস্থা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম অগ্রগন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
ভ্যাকসিনের উৎপাদন এবং ভারত সহ অন্য ৬০ টি দেশে (সম্মিলিত জনসংখ্যা ৩০০ কোটি) সরবরাহের জন্য তারা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা।
পুনাওয়ালা বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের অফিসে আবেদন করবেন। কী ধরনের গবেষণা ও ট্রায়াল করতে হবে, সে সম্পর্কে তাদের ১-২ সপ্তাহ সময় লাগবে।
হাসপাতালে রোগীদের ইঞ্জেক্টের জন্য আও তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এ কথা জানিয়ে পুনাওয়ালা বলেছেন, এক্ষেত্রে মাস খানেক বা দেড় মাস, হয়ত তার কম সময়ও লাগতে পারে।
ট্রায়ালের গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় পর্যায়ের অঙ্গ হিসেবে সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিন পুণে ও মুম্বইতে ৪-৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর প্রয়োগ করা হবে।
পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবকের অভাব নেই। অক্সফোর্ডে প্রাথমিক পর্বের ট্রায়ালে বয়স্কদের বাদ দেওযা হয়েছিল। ভারতে ট্রায়ালে বয়স্ক সব স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অন্তর্ভূক্ত করা হবে। কারণ, প্রাথমিক পরীক্ষায় ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানা গিয়েছে।