নয়াদিল্লি: পঞ্চায়েতের সালিসি সভার মধ্যস্থতায় ধর্ষণকারীকেই বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল একটি মেয়ে। বিয়ের সাত মাস বাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে হরিয়ানার ১৯ বছরের সেই ধর্ষিতা।


২০১৫-র অক্টোবরে যমুনানগরের জগধরিতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেফতার  হয় অভিযুক্ত অনুজ। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত আসরে নামে তারপর। তারা বিষয়টি আপস রফা করে মিটিয়ে ফেলতে বলে। তাদেরই মধ্যস্থতায় অনুজ মেয়েটিকে  বিয়ের প্রস্তাব দেয়।  মার্চে দুজনের বিয়ে হয়। অনুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও প্রত্যাহার করা হয়।

অবশ্য ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতার মা। তাঁর দাবি, বিয়ের পর মেয়ের ওপর পণ চেয়ে জুলুম অত্যাচার করত অনুজ, তার বাবা-মা। ধর্ষণ মামলায় খরচ হওয়া টাকা পয়সা চেয়েও তার ওপর মানসিক, শারীরিক অত্যাচার চালাত তারা।