নয়াদিল্লি: ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে ৬.১ শতাংশ হওয়ার পিছনে সামগ্রিক বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি সহ নানা ফ্যাক্টর রয়েছে। নানা মহল থেকে জিডিপি বৃদ্ধির হার মার খাওয়ার জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হলেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এমন কারণের কথাই বললেন।


কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে গত বছরের ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

গতকাল প্রকাশিত জিডিপি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৬-১৭ বর্ষের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ এবং সামগ্রিক বৃদ্ধি নেমে এসেছে ৭.১ শতাংশে, যা তিন বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৫-১৬য় জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছিল ৮ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭.৫ শতাংশ।

জেটলির বক্তব্য, সাত-আট শতাংশ বৃদ্ধির হার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খুবই ভাল আর ভারতের মাপকাঠিতে ভালই।
দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ কী কী, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে অনাদায়ী ঋণ, বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উত্সাহ দেওয়া।

রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের ব্যাপারে তিনি জানান, নীতি আয়োগ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাস্তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে। তাদেরই বিভিন্ন উপায় বিচার করে দেখার কথা এখন।