নয়াদিল্লি: সরোজ খান, রেনুকা চৌধুরির সুর শত্রুঘ্ন সিনহার গলায়। ওঁদের মতো তিনিও মনে করেন, বিনোদন ও রাজনীতি, দু জায়গাতেই কাজের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক গড়ার দাবি করা হয়, যৌনতা দিতেও হয়।
প্রাক্তন বলিউড অভিনেতা ও রাজনীতিক বলেছেন, সরোজ খান না রেনুকা চৌধুরির কেউই ভুল বলেননি। রাজনীতি, বিনোদন, দুই জগতেই যৌন সম্পর্ক গড়তে বলা হয়, দিতেও হয়। জীবনে উন্নতি করার বহু পুরানো পন্থা এটা। আপনি আমায় খুশি করুন, আমিও আপনাকে করব। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই এটা চলছে। এতে খারাপ লাগার কী আছে!
সরোজ খানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, কোরিওগ্রাফিতে ওনার অবদান, রেখা, মাধুরী দীক্ষিত ও সদ্যপ্রয়াত শ্রীদেবীর কেরিয়ার নির্মাণে তাঁর ভূমিকা খুবই মূল্যবান। সরোজ নিজগুণেই প্রবাদপ্রতিম হয়ে উঠেছেন। প্রায়ই উনি মনের কথা বলে ফেলেন। রাজনৈতিক নির্ভূল থাকার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন আবেগকে। উনি যদি বলে থাকেন, বলিউডে কাজ পেতে গেলে মেয়েদের শরীরের বিনিময়ে সমঝোতা করতে হয়ে, নিশ্চয়ই তিনি কী ঘটছে, সে ব্যাপারে অবগত আছেন।
কাস্টিং কাউচের অস্তিত্ব তিনি উড়িয়ে দেননি। শত্রুঘ্ন বলেন, সরোজ, রেনুকার বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত। জানি, ছবিতে কাজ পেতে মেয়েদের কীভাবে আপস করতে হয়। সম্ভবত সরোজের নিজের এব্যাপারে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। রাজনীতির কথা যদি ওঠে, তবে কাস্টিং কাউচকে কী বলে ব্যাখ্যা করব, জানি না, হয়তো কাস্টিং ভোট-কাউচ বলতে হবে। অবশ্যই রাজনীতিতে নাম করতে ইচ্ছুক নতুন প্রজন্মকে যৌনতা দিতে হয়, সিনিয়র ব্রিগেড তা গ্রহণ করে। বলছি না, এটা ঠিক। আমি কখনও এমন দেওয়া নেওয়ায় শরিক হব না। কিন্তু তা বলে বাস্তব থেকে নজর ঘুরিয়ে রাখতে পারব না। সরোজজীকে সত্যিটা বলার জন্য নিন্দা করা ঠিক নয়। বরং নিন্দা করুন তাদের যারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে যেখানে অল্পবয়সিরা মনে করে, তাদের ওপরে উঠতে গেলে আপস করতে হবে।
যদিও সরোজের মতোই শত্রুঘ্নরও দাবি, কেউ যৌন সম্পর্কে জড়াতে নতুনদের বাধ্য করছে না। কেউ আপস করবে কিনা, সেটা একেবারেই তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।