পটনা: তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে ৪০টারও বেশি। খুন, ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। তবু হাসতে হাসতে জামিন পেলেন আরজেডি-র কুখ্যাত বাহুবলী, সিওয়ান এলাকার আতঙ্ক মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। রাজীব রওশন খুনের মামলায় ১১ বছর জেলে কাটানোর পর পটনা হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।


শুধু রাজীবই নন, সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে রাজীবের দুই ভাই গিরিশ রাজ ও সতীশ রাজকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৪ সালের সেই ঘটনার প্রধান সাক্ষী ছিলেন রাজীব। ২০১৪-য় সিওয়ানে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। সাহাবুদ্দিন তখন জেলে। তাঁর ছেলে ওসামার বিরুদ্ধে ওঠে এই খুনের অভিযোগ। পুলিশ বলে, জেল থেকে এই খুনের ঘুঁটি সাজিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিনই। কিন্তু বুধবার বিচারপতি জিতেন্দ্র মোহন শর্মার সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় জামিন দিয়েছে সাহাবুদ্দিনকে। রাজীবের ২ ভাইকে খুনের মামলায় আগেই জামিন পেয়ে যান তিনি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যত ফৌজদারি মামলা ঝুলছে, তার সবকটাতেই বিভিন্ন আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যাওয়ায় আর তাঁর মুক্তির কোনও বাধা রইল না।

২০০৫-এর নভেম্বরে যৌথ অভিযানে দিল্লি থেকে সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে সিওয়ান পুলিশ ও দিল্লি পুলিশ। এ বছর ১৩ মে, হিন্দি সংবাদপত্রের সাংবাদিক রাজীব রঞ্জন খুন হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে ভাগলপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সরিয়ে দেওয়া হয় সিওয়ান সংশোধনাগার থেকে। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সাহাবুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ লাড্ডন মিঞার দিকে।

আরজেডি প্রার্থী হিসেবে ‘৯৬, ‘৯৮, ‘৯৯ ও ২০০৪ সালে সিওয়ান থেকে ভোটে জিতে লোকসভায় যান সাহাবুদ্দিন। নানা পুলিশ স্টেশনে তাঁর বিরুদ্ধে ৪০টির বেশি গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। জেডিইউয়ের সহযোগী হিসেবে আরজেডি বিহারে ক্ষমতায় আসার পর রহস্যজনকভাবে সবকটি মামলাতেই জামিন পেয়ে গেলেন তিনি।