নয়াদিল্লি: দল বা দলীয় নীতির সঙ্গে তাঁর যতই মতবিরোধ থাকুক না কেন, সংসদে আগামীকাল তিনি অনাস্থা প্রল্তাবের বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন বলে সাফ জানিয়ে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।


সম্প্রতি, আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে পটনা সাহিবের এই বিজেপি সাংসদের ‘ঘনিষ্ঠতা’ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে শত্রুঘ্নর দল-ছাড়ার জল্পনা শুরু হয়। এই নিয়েও এদিন মুখ খোলেন তিনি। পরিষ্কার করে দেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে দল ছাড়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই।

‘বিদ্রোহী’ বিজেপি সাংসদ বলেন, আমি বিজেপির সদস্য। আমি দল ছাড়িনি। দলও আমাকে ছাড়েনি। অনুগত সৈনিকের মতো আমি দলের আদেশ যথাযথ পালন করব। খারাপ সময়ে দলের সঙ্গে থেকে বিরোধী-পরিচালিত অনাস্থা প্রস্তাবকে ব্যর্থ করব।

https://twitter.com/ANI/status/1019893391302320133

প্রসঙ্গত, চার বছর আগে ক্ষমতায় আসা ইস্তক, এইপ্রথমবার অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন মোদী সরকার। গতকালই, লোকসভায় বিজেপি-শাসিত এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে কেন্দ্রেরই শরিক দল টিডিপি। তাদের সমর্থন করে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি। শুক্রবার, সংসদে আলোচনা ও ভোটাভুটি হবে।


এই নিয়ে বিরোধীদের হাল্কা কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ‘বিহারীবাবু’। তাঁর মতে, বিরোধী শিবিরে একাধিক বুদ্ধিজীবী রয়েছেন। ফলত, বিরোধীদের উচিত ছিল আরও পরে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ সংখ্যা রয়েছে। তাছাড়া, আমাদের মনোবল চাঙ্গা রয়েছে। ফলে, সহজেই প্রস্তাব ব্যর্থ করতে সক্ষম হব।

দলীয় সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র ও তার নীতির বিরোধিতা করে আসছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী সরকারের সমালোচনা করে আসছেন এই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ। সেই প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন জানান, তিনি দলকে আয়না দেখানোর কাজ করেন। ভবিষ্যতেও করবেন। তবে, এটা পারিবারিক বিষয়।