ভুবনেশ্বর: রাহুল গাঁধীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ার পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি শনিবার দলের শীর্ষপদের জন্য বেছে নিল সনিয়া গাঁধীকেই। রাজীব তনয়া প্রথমবার এই পদে বসেছিলেন ১৯৯৮ সালে। তারপর প্রায় একটানা দুই দশক ভারতীয় রাজনীতির সবথেকে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আস্থা রেখেছিল তাঁর ওপরই। ২০১৭ সালে সেই পদে স্থলাভিষেক হয় সনিয়া পুত্র রাহুলের। তবে বছর দুই যেতে না যেতেই সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রাহুল। সপ্তদশ লোকসভায় কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। যদিও প্রথমে তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি কংগ্রেস। তাঁকে সভাপতি হিসেবে কাজ করতে অনুরোধ করেন অনেকে। কিন্তু রাহুল নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত পরিত্রাতা হিসেবে বেছে নেওয়া হল সনিয়াকেই।


কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেছেন, “দেশ পরিবারতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে, অথচ কংগ্রেস এখনও শিক্ষা নিল না। আমার মনে হয়েছিল, লোকসভা ভোটের ফল দেখে কংগ্রেস নিশ্চয়ই অন্য কিছু ভাববে। কিন্তু তারা এখনও একটি পরিবারকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অবাক লাগছে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুল গাঁধী ও সনিয়া গাঁধীকেই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নিল।” আরও একধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসে গুণী নেতার অভাব রয়েছে।  কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুল গাঁধীকে ‘পলায়নবাদী’ বলতেও পিছপা হননি শিবরাজ। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও-কেও মনে রাখেনি কংগ্রেস, কারণ তিনি গাঁধী পরিবারের কেউ ছিলেন না। মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী হলেও, নেপথ্যে কতৃত্ব ছিল মা এবং ছেলেরই, কটাক্ষ শিবরাজ সিংহ চৌহানের।