জয়পুর: জয়পুরের নাহারগড় দুর্গে চেতন সাইনি নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর প্রকাশ্যে এসেছে নয়া তথ্য। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করা হলেও পুলিশ এখন নিশ্চিত, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে চেতনকে।


প্রথমে ভাবা হয়েছিল, রাজস্থানে পদ্মাবতী বিরোধী আন্দোলনকারীরাই এই খুনের পিছনে। কারণ দেহের পাশে উদ্ধার পাথরের গায়ে কয়লা দিয়ে পদ্মাবতী লেখা ছিল। কিন্তু দেহের পাশে বেশ কিছু কয়লায় লেখা পাথর পাওয়া গিয়েছে। ওই সব বার্তায় পদ্মাবতী নির্মাতাদের নয়, টার্গেট করা হয়েছে পদ্মাবতী বিরোধীদের।

একটি পাথরে লেখা, পদ্মাবতীর বিরোধীরা, আমরা শুধু পুতুল পোড়াই না, কেল্লা থেকে ঝুলিয়েও দিই। এতে পরিষ্কার, যে রাজপুত কার্ণি সেনা পদ্মাবতী বিরোধী কুশপুতুল পুড়িয়েছিল, এই লেখায় তাদের টার্গেট করা হয়েছে।



অন্য একটি পাথরে লেখা, হর কাফির কা ইয়ে হাল হোগা অর্থাৎ প্রত্যেক কাফের বা অবিশ্বাসী এভাবেই মরবে। আর একটিতে লেখা, হাম পুতলে নেহি লটকাতে আল্লা কে বান্দে, হাম মে হ্যায় দম। যার মানে, আমরা পুতুল ঝোলাই না, আমরা আল্লার দাস, আমরা শক্তিশালী। এছাড়াও রয়েছে, জো কাফির কো মারেগা, আল্লা কো পেয়ারা হোগা। অর্থাৎ যে কাফেরকে মারবে সে আল্লার ভালবাসা পাবে। রয়েছে যোধা আকবর প্রসঙ্গও। পদ্মাবতী কা জৌহর হ্যায় তো যোধা কা আকবর শৌহর হ্যায়। যার অর্থ, পদ্মাবতী যদি জহর ব্রত করে থাকেন, যোধার স্বামী ছিলেন আকবর।

খুনের জায়গায় পাথরে লেখা অন্তত তিনটি স্লোগান কাফের শব্দটি রয়েছে। দুজায়গায় লেখা আল্লা।

পুলিশকে এখন দেখতে হবে, কোন স্বার্থে কারা এই কথাগুলি দুর্গ প্রাচীরের পাশে লিখে রেখে গেল। এর পিছনে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরির কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা। তবে এই সব লেখা মেলায় পরিষ্কার, চেতন সাইনি মৃত্যু কোনওভাবেই আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুনই করা হয়েছে।