নয়াদিল্লি: আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শর্ট কোড মেসেজ-এর মাধ্যমে করা বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার চার্জ মকুব করার সিদ্ধান্ত নিল দেশের সমস্ত টেলিকম অপারেটর্স। নতুন বছরের শুরু থেকে ৫০ পয়সা করে চার্জ ধার্য করা হবে।
শর্ট কোড মেসেজ কী? মূলত এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহক যে বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা করে থাকেন, তাকেই বলে শর্ট কোড মেসেজ। যেমন, এসএমএস-এর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স জানা, টাকা জমা দেওয়া, টাকা তোলা, অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো ইত্যাদি।
কেন্দ্রের ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর চারদিকে নোটের আকাল দেওয়ার পর থেকে ‘ক্যাশলেস ট্রানজাকশন’ বা নেট-ব্যাঙ্কিং ও মোবাইল ব্যাঙ্কিংকে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, এই প্রক্রিয়াকে আরও জোর দিতে এবার ব্যাঙ্কগুলির সহায়তায় এগিয়ে এল দেশের টেলিকম রেগুলেটর বা ট্রাই। এদিন কেন্দ্রীয় টেলিকম প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা জানান, মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য গ্রাহকদের থেকে একটি নির্দিষ্ট চার্জ (টেলিকম পরিভাষায় ইউএসএসডি চার্জ) ধার্য করে টেলিকম অপারেটররা। বর্তমানে যা ১.৫০ টাকা।
এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে এবং ই-ব্যাঙ্কিংকে আরও উৎসাহ জোগাতে টেলিকম অপারেটররা সেই চার্জ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রীর মতে, এর ফলে, যাঁদের ফোনে মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে, তাঁরা নিখরচায় এখন ব্যাঙ্কের সমস্ত কাজ ঘরে বসেই করতে পারবেন। নোট বাতিলের ফলে, যাঁদের বারবার ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে, তাঁদের কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে করছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় আরও স্বচ্ছতা আনতে এবং কালো ও জাল টাকার বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রথম থেকেই গোটা সিস্টেমকে যথাসম্ভব ই-ব্যাঙ্কিং (ক্যাশলেস)-এর আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার। এখন নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, সেই প্রক্রিয়াকে আরও বলিষ্ঠ করবে বলই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাই সূত্রে খবর, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফি মকুব করা হলেও, নতুন বছরের শুরু থেকে ফের চালু হবে এই চার্জ। তবে, তা বর্তমানের তুলনায় কম হবে। এখন এসএমএস-প্রতি এই চার্জ দেড় টাকা করে ধার্য করে টেলিকম অপারেটররা। ট্রাই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে তা কমে ৫০ পয়সা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কোডের জন্য দেড় টাকা ফি অনেকটাই বেশি। এর ফলে, জোর ধাক্কা খেতে পারে কেন্দ্রের ভাবনা। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলে যেখানে হালে ফিচার ফোনের (স্মার্টফোন) ব্যবহার প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।