বেঙ্গালুরু: ইভিএম যন্ত্রে এদিকওদিক করা হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করে নিজের রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের দাবি তুললেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তাঁকে বলেছেন, ইলেট্রনিক ভোটযন্ত্রে কলকাঠি নাড়ানো যায়। উত্তর কর্নাটকের রায়চুরে ইভিএমে বিকৃতি ঘটানোর অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওরা (বিজেপি) ক্ষমতায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ওদের শাসনে। কমিশন যদিও সাংবিধানিক নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে। তাঁর বক্তব্য, আমরা বলছি, আগের ব্যালট পেপার সিস্টেমই আবার চালু হোক। অসুবিধা কোথায়?
ব্লুটুথ টেকনোলজির মাধ্যমে ইভিএমে গন্ডগোল করা হতে পারে বলে সাম্প্রতিক গুজরাত ভোটেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। যদিও কমিশন তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। এ বছরে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ও পুরভোটে বিজেপির বিরাট জয়ের পরও বিরোধীরা ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
সিদ্দারামাইয়ার অভিমত, বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএম থেকে ব্যালট পেপারে ফিরে গিয়েছে। সামনের বছরের শুরুতে নির্ধারিত কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যালট পেপারে ভোট হোক। এজন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবেন, লিখিত দাবিও পেশ করবেন বলে জানান সিদ্দারামাইয়া।
গুজরাত বিধানসভা ভোটের ফলাফলের কোনও প্রভাব কর্নাটকের নির্বাচনে পড়তে পারে কিনা, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এক রাজ্যের ভোটের ফলের কোনও প্রভাব অন্য রাজ্যে পড়বে না। আমাদের রাজ্যের থেকে আলাদা ওখানকার ইস্যু। একটার সঙ্গে আরেকটার সম্পর্ক নেই।
গতকাল একাধিক এক্সিট পোলে গুজরাতে বিজেপির বিপুল বিজয়ের ভবিষ্যদ্বানী করা হলেও সিদ্দারামাইয়ার মতে, এটা স্রেফ এক্সিট পোল। এখনও আসল গণনা বাকি। এক্সিট পোল বাস্তবে না মেলার অনেক উদাহরণও আছে। দেখা যাক, ১৮ ডিসেম্বর কী হয়।