নয়াদিল্লি: দলীয় সহকর্মী যশবন্ত সিনহার সমর্থনে এগিয়ে এলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর দাবি, দেশের অর্থনীতির সমালোচনা করে সরকারকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি।


সাম্প্রতিককালে, একাধিক ইস্যু নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিহারের সাংসদ শত্রুঘ্ন। যশবন্তের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য এদিন তিনি দলীয় নেতাদেরও টার্গেট করেন ‘শটগান’। তাঁর মতে, যশবন্তের মতো বিচক্ষণ ব্যক্তির মতামতকে খারিজ করা ‘শিশুসুলভ’ আচরণ হবে। কারণ, তা ‘পুরোটাই দল ও দেশের স্বার্থেই করা’।


একাধিক টুইটের মাধ্যমে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন ‘বিহারীবাবু’। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই যশবন্তের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আর এর নেপথ্যে একটি বিশেষ দফতর দায়ী।


যশবন্তকে সমর্থনের প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক করা একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করেন শত্রুঘ্ন। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশ আগে, দল পরে। শত্রুঘ্নর বলেন, আমি মনে করি যশবন্ত যা লিখেছেন, তা দল ও দেশের স্বার্থে।


শত্রুঘ্ন যোগ করেন, যশবন্ত একজন সত্যিকারের কূটনীতিবিদ, বিচক্ষণ ব্যক্তি তিনি নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা ও সফল অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। উনি যা বলেছেন, তা দেশের হাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিবিম্ব। পেরেকটা তিনি একেবারে মাথায় মেরেছেন।


যশবন্তকে বড়ভাই হিসেবে উল্লেখ করে শত্রুঘ্ন জানান, উনি যা বলেছেন, তার সমালোচনা না করে প্রশংসা করা উচিত। যশবন্তের পাশাপাশি, এদিন আরেক প্রবীণ বিজেপি নেতা অরুণ শৌরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত, অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা শৌরী বরাবর মোদী সরকারের নীতির সমালোচনা করে এসেছেন।


শত্রুঘ্ন বলেন, যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরী – দুজনই হলেন অত্যন্ত জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এঁদের কেউ পদের জন্য লালায়িত নন। তেমন কোনও আশাও করেন না তাঁরা। শত্রুঘ্নর দাবি, যাঁরা যশবন্তের সমালোচনা করছেন, তাঁদের উচিত পয়েন্ট ধরে ধরে বিচার করা।