হাজারিবাগ: বিজেপি ছাড়ার দুদিন পর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার অভিযোগ, মোদী সরকারের শেষ চার বছরের পরিস্থিতি ‘জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ’।
গত ২১ এপ্রিল, বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়ে দলীয় রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ নেন যশবন্ত। তাঁর দাবি, মো দী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে, দেশবাসী অসুরক্ষিত বোধ করছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘গণতন্ত্রের পীঠস্থানকে ধ্বংস করেছে’ বর্তমান শাসক দল।
নিজের বাসভবন থেকে তিনি বলেন, মোদী সরকারের তৈরি করা পরিস্থিতি ইন্দিরা গাঁধীর সময়কার জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ। কেন্দ্রের বর্তমান শাসকের পদক্ষেপের ফলে কোনও সম্প্রদায়ের মানুষ নিরারদ বোধ করছেন না।
সংসদের বাজেট অধিবেশন নষ্ট হওয়ার জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করেছেন যশবন্ত। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারই চায়নি যে সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক। বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও, শাসক দল অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন হতে চায়নি।
যশবন্ত মনে করিয়ে দেন, ১৯৯৮ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করতে দ্বিধা করেননি। সেই সময় মাত্র এক ভোটের জন্য তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়েছিল। কিন্তু, বর্তমান সরকার সংসদের পবিত্রতার ধার ধারেনি।
প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বর্তমান প্রশাসন। যেভাবে বিরোধী কণ্ঠরোধ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে মোদী সরকার, সেই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, বিরোধী নেতাদের কণ্ঠরোধ এবং হেনস্থা করার জন্য সিবিআই, এনআইএ, ইডি এবং আয়কর দফতরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে মোদী সরকার। তিনি যোগ করেন, বিজেপি সংগঠনেই কোনও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নেই। নেতারা বলেন, আর কর্মীরা শোনেন। কারও ক্ষমতা নেই আওয়াজ তোলার।
সিনহা জানান, সক্রিয় রাজনীতি ত্যাগ করার পর তিনি এখন সমস্যায় থাকা কৃষক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, যুব সম্প্রদায়, পড়ুয়া এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণিকে সাহায্য করবেন। এর জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন। যশবন্তের দাবি, গণতন্ত্রকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে তাঁকে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন।