নয়াদিল্লি: ট্যুইটারে সম্প্রতি কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির দাবি নিয়ে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাশিয়ান, কাজাখ ও ইন্দোনেশিয়ান বৈশিষ্ট্যযুক্ত ট্যুইটারবট রাহুলের পোস্ট রিট্যুইট করছে। সে কথা উল্লেখ করেই স্মৃতির খোঁচা, ‘রাহুল হয়তো রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া বা কাজাখস্তানে নির্বাচনে জয়ের পরিকল্পনা করছেন।’

ট্যুইটারবট নামক সফটঅয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্যুইট, রিট্যুইট, ফলো, আনফলো বা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে সরাসরি মেসেজ পাঠানো যায়। এই বটগুলির ট্যুইটার হ্যান্ডলের ফলোয়ার সংখ্যা অন্য দশটি ট্যুইটার ব্যবহারকারীর চেয়ে কম হয়। এই ধরনের ট্যুইটার হ্যান্ডলে শুধু সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের রিট্যুইট দেখা যায়। কোনও মৌলিক ট্যুইট দেখা যায় না।

ট্যুইটারে রাহুলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পিছনে এই সফটঅয়্যারটিই আছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। রাহুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যুইট বিশ্লেষণ করে একটি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ট্যুইটারবটের কারণেই রাহুলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেস সহ-সভাপতির জনপ্রিয়তা বাড়েনি।

ট্যুইটারে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সম্প্রতি দাবি করা হচ্ছে, জনপ্রিয়তায়  প্রধানমন্ত্রীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। গত দু’মাসে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ লক্ষ। এই সময়ে তাঁর গড় ট্যুইটের সংখ্যা ২,৭৮৪। প্রধানমন্ত্রীর গড় ট্যুইট সেখানে ২,৫০৬। কংগ্রেসের দাবি, দেশের মানুষের মধ্যে রাহুলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। যদিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উদ্ধৃত করে কংগ্রেসের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন স্মৃতি।