নয়াদিল্লি: ছেলে বিবাহিত হোক বা না হোক, বাপ-মায়ের করা বাড়িতে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার তার নেই। এক রায়ে জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ছেলে বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকতে পারে স্রেফ তাঁদের ‘দয়া’য়, ইচ্ছায়। যতদিন তাঁরা তাকে রাখবেন, ততদিন সে সেখানে থাকতে পারে।
বিচারপতি প্রতিভা রানি এক মামলায় তাঁর নির্দেশে বলেছেন, ছেলের সঙ্গে যতদিন সম্পর্ক মধুর থাকবে, শুধু ততদিন তাকে বাবা-মা তাঁদের বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন বলে এমন নয় যে, সারা জীবন তাঁর 'বোঝা' তাঁদের বয়ে বেড়াতে হবে।
একটি মামলায় এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতে ওই ব্যক্তির বাবা-মা আর্জি জানিয়েছিলেন, ছেলে ও ছেলেবউয়ের দখলে থাকা তাঁদের বাড়ির একটি তল খালি করে দিতে বলা হোক। তাঁরা দুজনেই সিনিয়র সিটিজেন। নিম্ন আদালতে তাঁরা অনুযোগ করেন, ছেলে-ছেলেবউ তাঁদের সঙ্গেই থাকে। কিন্তু ওরা তাঁদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। ২০০৭ ও ২০১২ সালে প্রকাশ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েও জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিজেদের বাড়ি থেকে তাদের ত্যজ্য করেছেন। তবে বাবা-মায়ের আনা অভিযোগ নাকচ করে এক ছেলে-ছেলেবউ নিম্ন আদালতে দাবি করে, বাড়ি কেনা, বানানোয় তারাও টাকা দিয়েছে, ফলে তার মালিকানার অংশীদার তারাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালত প্রবীণ দম্পতির আবেদন মেনে নিলে পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ছেলে-ছেলেবউ।
রায়ে বিচারপতি প্রতিভা রানি জানান, ছেলে-ছেলেবউ বাড়ির ওপর নিজেদের মালিকানার দাবির সমর্থনে তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যের সমর্থনে দরকারি নথিপত্র পেশ করেছেন বাবা-মা।