নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তিনি এই আইনকে বৈষম্যপূর্ণ ও বিভেদমূলক বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের বাড়াবাড়ির ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেসে সভানেত্রী বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত ঘটনাগুলির তদন্তের জন্য একটি সার্বিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন এবং এর শিকারদের জন্য ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত।
সনিয়া বলেছেন, 'এই আইনের অশুভ উদ্দেশ্য প্রত্যেক দেশপ্রেমিক, সহিষ্ণু ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয়দের কাছে স্পষ্ট। ভারতীয়দের ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনই এর উদ্দেশ্য। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন যে গভীর ক্ষতি করতে তা বুঝতে পেরেছেন হাজার হাজার তরুণ, মহিলা এবং বিশেষ করে পড়ুয়া'।
আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রশংসাও করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেছেন, 'পুলিশের দমন ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে প্রতিবাদকারীরা পথে নেমেছেন। এই নির্ভীক মনোভাব, সংবিধানের মূল্যবোধের প্রতি আস্থা এবং সেই মূল্যবোধকে সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় সংকল্পতাকে কুর্ণিশ জানাই'।

সনিয়া বলেছেন, সমতা, ন্যায়বিচার ও মর্যাদার লড়াইয়ে কংগ্রেস কর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবেন। তিনি বলেছেন, কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কারণ, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির মতো রাজ্যগুলি পুলিশ-রাজ্য হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সনিয়া বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের বহু শহরে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট সায়েন্সে পুলিশি বাড়িবাড়ি ও শক্তি প্রয়োগের ঘটনায় কংগ্রেস বিচলিত।