নয়াদিল্লি: সনিয়া গাঁধীর বিদেশি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিদেশের দুই শহরের নাম উল্লেখ করে এমনই অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে অন্য কংগ্রেস নেতাদের মত সনিয়াও ঘুষ খেয়েছেন, সে টাকা জমা পড়েছে বিদেশি ব্যাঙ্কে। তাঁর আরও দাবি, কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নামি দামি নেতা কপ্টার কাণ্ডে জেলের ঘানি টানবেন।
কী এই অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ড?
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্ত ইতালির প্রথম সারির সংস্থা হল ফিনমেকানিকা। ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড এরই সহযোগী। এরা গোটা দুনিয়ায় ভিভিআইপিদের জন্য হেলিকপ্টার বানায়। ২০০০ সালে প্রথম এ দেশেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মত ভিভিআইপির জন্য বিশেষ হেলিকপ্টারের প্রয়োজন পড়ে।
ইউপিএ সরকার ২০১০-এ ফিনমেকানিকার কাছ থেকে ১২টি অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কিনতে চায়। ১২টি কপ্টারের দাম ধার্য হয় ৩৬০০ কোটি টাকা।
এরপর ৩ বছর সব কিছু ঠিকঠাকই চলে। ৩টি কপ্টারের ডেলিভারিও হয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় গন্ডগোল।


কপ্টার চুক্তিতে প্রকাশ্যে আসে ঘুষের অভিযোগ
২০১৩-য় গ্রেফতার হন ফিনমেকানিকার সিইও জুসেপ্পে ওর্সি। অভিযোগ ওঠে, কপ্টার ডিল চূড়ান্ত করতে ঘুষ দিয়েছেন তিনি। ইতালি পুলিশ ওর্সির ফোন ট্যাপ করে ঘুষকাণ্ডের পর্দা ফাঁস করে। গ্রেফতার হন অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সিইও ব্রুনো স্প্যাগনোলিনি। এরপর কপ্টার চুক্তি স্থগিত করে দেয় ইউপিএ সরকার। শুরু হয় তদন্ত।