নয়াদিল্লি: ১৯৯২ থেকে ২০২০। আঠাশ বছর ধরে চলা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে বুধবার। রায় ঘোষণা করবে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।
হাইপ্রোফাইল এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী,প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীমনোহর জোশী,প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী,বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার,বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ।উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ-সহ মোট ৪৯ জন। তবে বিচার চলাকালীন ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থাৎ বর্তমানে ৩২ জন অভিযুক্ত জীবিত রয়েছেন।
বুধবার আডবাণী-সহ সব অভিযুক্তকেই আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হাতে ধ্বংস হয়ে যায় অযোধ্যার বাবরি মসজিদ।
সেই ঘটনায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়। একটি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, অপরটি প্ররোচনার। মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র মামলার বিচার চলছিল লখনউ আদালত। প্ররোচনার মামলার শুনানি চলছিল রায়বরেলি আদালতে। ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট দু’টি মামলা জুড়ে দেয়। শুনানির জন্য লখনউতে এক বিশেষ আদালত গঠন করা হয়।
২৮ বছর ধরে চলছে মামলা। বিচার চলাকালীন মোট ৩৫৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এবছরের ২৩ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে মুরলীমনোহর জোশীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। পর দিন অর্থাৎ ৩০ জুলাই লালকৃষ্ণ আডবাণীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। দু’জনই বাবরি ধ্বংসের দিন অযোধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতে বয়ান দিতে গিয়ে অবশ্য তাঁরা নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। এখন বুধবার বিশেষ সিবিআই আদালত বাবরি ধ্বংস মামলায় কী রায় দেবে? ২৮ বছর ধরে চলা মামলার রায়ে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীদের জন্য কী অপেক্ষা করছে? সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।