মুম্বই: মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই মারা গেলেন বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার শ্রীদেবী। রবিবার দুবাইতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই অভিনেত্রী। মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধির প্রশ্নটি ফের সামনে এসেছে শ্রীদেবীর অকালমৃত্যুতে।


যদিও, শ্রীদেবীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগেই আক্রান্ত হন এই অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পুরুষদের তুলনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মহিলাদের মৃত্যুর হার তিনগুণ বেশি।


সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, প্রচলিত ধারনা রয়েছে যে, হার্ট অ্যাটাকে পুরুষরাই মূলত আক্রান্ত হন। তাই, হৃদরোগে আক্রান্ত মহিুলারা ঠিকমতো চিকিৎসা পান না। এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সমীক্ষার প্রধান গবেষক তথা লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ডিওভাস্কুলার মেডিসিনের প্রফেসর এবং সাম্মানিক কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ক্রিস গেল।


তাঁর মতে, যে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের বাইপাস সার্জারি করা ও ধমনীতে অয়্যার-মেশ টিউব বসিয়ে দেওয়া উচিত। তিনি যোগ করেন, মহিলাদের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ ও তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো উচিত। একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হল দরদর করে ঘামা। বিশেষকরে, যাঁরা নিয়মিতভাবে শারীরিক কসরত করেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ হেলাফেলা করা উচিত নয় বলে দাবি করেছেন গেল।


২০১৭ সালে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে হৃদজনিত সমস্যা একটা বড় ইস্যু। দেশের ৪১ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে অস্বাভাবিক লিপিড প্রোফাইলের শিকার।