নয়াদিল্লি: মহাত্মা গাঁধীর হত্যা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘ (আইরএসএস)-এর বিরুদ্ধে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই। এর জন্য তিনি যে কোনও মামলার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী।


এদিন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের মারফৎ শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস সহ-সভাপতি বলেন, আমি আমার প্রতিটা কথাকে সমর্থন করছি। নিজের বক্তব্যের অবস্থান বজায় রাখছি। তা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি কালও বলেছি, আজও বলছি এবং ভবিষ্যতেও একই কথা বলব। প্রয়োজনে মামলার সম্মুখীন হতেও রাজি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল দাবি করেছিলেন, জাতির জনকের হত্যার নেপথ্যে আরএসএস-এর হাত ছিল। এর প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির একটি আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে সংঘ। সেখানে হাজিরা দেওয়ার জন্য রাহুলকে সমন পাঠানো হয়। সমনের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন রাহুল। তা খারিজ হওয়ায় সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সহ-সভাপতি।

এদিন আরএসএস-এর আইনজীবী ইউ আর ললিত জানান, তাঁর মক্কেলের দাবি, রাহুল যদি স্বীকার করে নেন যে তিনি তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করছেন, তাহলে মূল মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

যদিও, বক্তব্য প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্ন নেই বলে রাহুল এদিন জানিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল হল। যার জেরে নিম্ন আদালতে মূল মামলার শুনানিতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে রাহুলকে অব্যাহতি দিতে অস্বীকার করে বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি আর এফ নরিমনের ডিভিশন বেঞ্চ।

ফলে, মহারাষ্ট্রের আদালতে রাহুলকে হাজিরা দিতে হবেই বলে মনে করা হচ্ছে।