জম্মু: ‘সামনে পরীক্ষা, ভাল করে পড়াশোনা করো।’ গতকাল সকালেও ছেলেকে বলেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাবিলদার রোশন লাল। তখন তিনি ভাবতেও পারেননি, ছেলের সঙ্গে আর দেখা হবে না। বাবার সঙ্গে হওয়া শেষ কথাগুলো এখন দশম শ্রেণির ছাত্র অভিনন্দনের কানে বাজছে।


জম্মুর সাম্বা জেলার গাড়ওয়াল তেহসিলের নিচলা গ্রামের বাসিন্দা ৪২ বছরের রোশন ১৯৯৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। রজৌরিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনে ক্যাপ্টেন কপিল কুণ্ডু, রাইফেলম্যান রাম অবতার ও শুভম সিংহের সঙ্গে রোশনেরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাবা দেশ রাজ, স্ত্রী আশা দেবী, ছেলে অভিনন্দন ও মেয়ে আর্তিকা বর্তমান। মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

রোশনের ভাই দর্শন কুমার সিআইএসএফ জওয়ান। তিনি বলেছেন, ‘আমার দাদা ছায়াযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সরাসরি যুদ্ধ হলে আমার দাদা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট বেগ দিতে পারত। এই ছায়াযুদ্ধ চিরদিনের জন্য বন্ধ করা হোক।’