নয়াদিল্লি: দেশে কৃষক আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখার ব্যাপারে কেন্দ্র, সব রাজ্য  সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে  সব তরফের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে প্রধান বিচারপতি জে এস কেহর, বিচারপতি এন ভি রামান্নাকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।

কৃষকদের সমস্যা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে সিটিজেনস রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাকশন  অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পেশ করা পিটিশনের  শুনানিতে এই  নির্দেশ  দিয়ে বেঞ্চ বলেছে, দেশব্যাপী কৃষকদের সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে  বৃহত্তর জনস্বার্থ জড়িত।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ঋণের বোঝায় চাষির ফসল নষ্ট হওয়া রুখতে, তাদের সুরক্ষায় কী কী প্রকল্পের বন্দোবস্ত করা হয়েছে, কেন্দ্র, রাজ্যের  কাছে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্য, এটা দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক যে, ফসল নষ্ট হওয়ায়, ঋণের জালে জড়িয়ে বহু চাষি আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু তাঁদের বাঁচানোর জন্য আজও কোনও জাতীয় নীতি নেই।

৬৯২ জন চাষি গুজরাতে ২০০৩-এর জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের অক্টোবরের মধ্যে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করে তাঁদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পেশ হওয়া এক পিটিশনের ব্যাপারে গুজরাত সরকারকে ২০১৪ সালে নোটিস দিয়েছিল শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। পরবর্তীকালে তারা ওই পিটিশনটিকে জনস্বার্থ আবেদনে বদলে নিয়ে জানায়, গোটা দেশের চাষিদের সমস্যা কভার করবে এটি।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য, ২০১৪ ও ২০১৫-র মধ্যে কৃষক আত্মহত্যা ৪২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-.য় সংখ্যাটা ছিল ৫৬৫০। এক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৮০০৭।