নয়াদিল্লি ও রায়পুর: ছত্তিশগড়ের সুকমায় সোমবার মাওবাদী হামলায় ২৫ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এই হামলা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, জওয়ানদের বলিদান বিফলে যাবে না।
সূত্রের খবর, হামলার দায় স্বীকার করেছে মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন অফ গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ)। এই সংগঠন বুরকাপাল ও চিন্তাগুফায় অতি-সক্রিয়। গোয়েন্দাদের দাবি, সোমবারের হামলার পিছনে জঙ্গলের ত্রাস, মাও কমান্ডার হিড়মা। তার নেতৃত্বেই প্রায় ৩০০ জনের মাওবাদী দল গতকাল হামলা চালিয়েছে।



কে এই হিড়মা?
মাওবাদী নেতা হিড়মা দক্ষিণ বস্তারে সুকমা-বিজাপুর এলাকায় মাওবাদীদের ফার্স্ট ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে। মাথার দাম ৪০ লক্ষ টাকা। বস্তারে সেনাবাহিনীর উপর একাধিক হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত। ২৫ বছরের হিড়মার বাড়ি সুকমার পালোডি গ্রামে। অ্যাম্বুশ হামলার মাস্টার বলা হয় হিড়মাকে। হিড়মার নেতৃত্বে পিএলজিএ-১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গত কয়েক বছরে একাধিক বড় হামলা চালিয়েছে।
পুলিশের দাবি, ১১ মার্চের যে হামলায় সুকমার জঙ্গলে ১২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনাতেও জড়িত ছিল হিড়মা।
২০১৩ সালের মে মাসে জিরম উপত্যকায় কংগ্রেসের কনভয়ে মাও হামলায় মৃত্যু হয় একাধিক কংগ্রেস নেতার। পুলিশের দাবি, সেখানেও ছিল হিড়মার হাত।
২০১২ সালে সুকমা জেলার তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর অ্যালেক্স পল মেননকে হিড়মার নেতৃত্বেই অপহরণ করে মাওবাদীরা।
২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় যে ভয়াবহ মাওবাদী হামলায় ৭৬ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়, গোয়েন্দাদের দাবি, সেখানেও হাত ছিল হিড়মার।