নয়াদিল্লি: বিজেপির ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে অভূতপূর্ব সাফল্যের অন্যতম কারিগর হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে সুনীল দেওধরকে। তিনিই রীতিমতো অঙ্ক কষে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিয়েছিলেন, যার জোরে বিজেপি অসাধ্য সাধন করল, ত্রিপুরায় ২৫ বছরের লাল দূর্গে পদ্মফুল ফোটাল। এমনটাই আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
আরএসএস করা সুনীলকে ত্রিপুরায় দলের নির্বাচনের ভার দেওয়া হয়েছিল। ভোটের কৌশল তৈরি করায় পারদর্শী সুনীল ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে বারাণসী কেন্দ্রেও প্রচারের দেখভাল করেছিলেন।
তিনি আদতে মুম্বই থেকে এসেছেন। আজ নয়, দু বছর আগে থেকেই তিনি ত্রিপুরায় ঘাঁটি গাড়েন শাসক বামেদের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচার নেটওয়ার্ক তৈরির ভার হাতে নিয়ে। ৫২ বছর বয়সি সুনীলকে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের আগেই ইনচার্জ করা হয়। তবে উত্তরপূর্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেকদিনের। এক সময় মেঘালয়ে আরএসএসের প্রচারক ছিলেন তিনি।
শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর বারাণসী কেন্দ্রের জন্য প্রচারের স্ট্র্যাটেজিই ঠিক করেননি, তারও আগে ২০১৩-য় গুজরাতের দাহোদ নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ করেন তিনি। তখন মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে ভোটের কৌশল রচয়িতা হিসাবে তাঁর এলেম প্রথম দলীয় নেতৃত্বের নজরে আসে ২০১৩-য় দিল্লি বিধানসভা ভোটের সময়। অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি বানিয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ দিল্লির ১০টি আসনের সাতটিই যায় বিজেপির ঝুলিতে।
এরপর ২০১৪-য় মহারাষ্ট্রে সিপিএমের দখলে যে একটিমাত্র বিধানসভা আসন ছিল, সেই পালঘরও তিনি ছিনিয়ে নিয়ে আসেন বিজেপির ঘরে।
ত্রিপুরার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি মোদী দূত যোজনা নামে অভিযান শুরু করেন। স্থানীয় ভাষায় মোদী সরকারের নানা স্কিমের বিবরণ দেওয়া বুকলেট সর্বত্র ছড়িয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি তিনিই নেতৃত্বকে ত্রিপুরার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে উপজাতিদের সংগঠন আইপিএফটি-র সঙ্গে আসন সমঝোতা গড়ার প্রস্তাব দেন। সেই অনুসারে কাজ হয়।
এবার বিজেপি আগাম কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রজেক্ট করে প্রচারে নামেনি। তিনি কি এই পদের দৌড়ে রয়েছেন, জানতে চাওয়া হলে দেওধার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন।