কলকাতা: আগামী ২০১৯-এ দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হবেই। ক্ষমতা থেকে সরবে বিজেপি। এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, বিরোধীরা একজোট হয়েছে। তাই ২০১৯-এ পরিবর্তন হবে।তৃণমূল নেত্রী  বলেছেন, দেশে 'সুপার ডিক্টেটরশিপ' চলছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেন ইডি, সিবিআই বা আয়কর বিভাগকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেছেন, বিরোধীরা শক্তিশালী হবে কী করে? সবাইকেই তো  সন্ত্রস্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রে তাঁকেই প্রথম আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেছেন এতে তিনি খুশিই হন। তাঁর কথায়, 'আমি মনে করি আমি হিরো, জিরো নয়'।
মমতা বলেছেন, তিনি যেভাবে লড়াই করে টিকে থাকতে পারেন, অন্যরা তা পারেন না। তিনি বলেছেন, 'আমি তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছি, তাই সবকিছু সহ্য করতে পারি। আমি লড়াকু এবং সারাজীবন লড়াই চালিয়ে যাব'।
তিনি বলেছেন, কেন্দ্র ভয় দেখাতে চাইলেও বিরোধীরা একমঞ্চে এসেছে। ২০১৯-এ কেন্দ্রে পরিবর্তন হবে।
মমতা বলেছেন, 'আমরা পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছি..এখনও কোনও ফ্রন্ট তৈরি হয়নি, কিন্তু বিরোধী দলগুলি একমঞ্চে এসেছে এবং কাজ করতে শুরু করেছে। ছয়মাস অপেক্ষা করুন। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি এত তাড়াতাড়ি সবকিছু বলব না। তাহলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ওদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে'।
কংগ্রেস-আরজেডি জোট ছেড়ে নীতীশ কুমারের বেরিয়ে যাওয়াকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেছেন, 'আপনারা একটা নীতীশের কথা বলছেন। আমি ১০০ লালুপ্রসাদ যাদব, ১০০ শরদ যাদব, ১০০ অখিলেশ যাদবের কথা বলছি'।
নোট বাতিল ও জিএসটি প্রসঙ্গ নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, এই দুটি সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মমতা বলেছেন, নোট বাতিলের সময় যেসব দাবি করা হয়েছিল, তার কোনওটাই হয়নি।  কত টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরেছে তা কেউ জানতেই পারল না এতদিনেও।
মমতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, বাজপেয়ীও বিজেপি নেতা ছিলেন। কিন্তু তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন।
কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে যে সমস্যা চলছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর দোষারোপ তিনি করতে চান না বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের দলের ওপর নজর দিতে হবে।