সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চের রায়ের ফলে গত ৯ নভেম্বরের সর্বসম্মত রায় রূপায়ণের পথ প্রশস্ত হল। ওই রায়ে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি মন্দির নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়। একইসঙ্গে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যারই কোথাও পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুনর্বিবেচনার পিটিশনগুলির ইন-চেম্বার পর্যালোচনা শুরু হয় দুপুর ১.৪০ টায়। ৯ নভেম্বরের রায় নিয়ে মোট ১৮ টি পুনর্বিবেচনার পিটিশন দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে নয়টি পক্ষ আগের মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাকি পিটিশনগুলি তৃতীয় পক্ষগুলি দায়ের করেছিল। এগুলির মধ্যেই ছিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুসলিম পক্ষগুলির আর্জি।
গত বুধবার নির্মোহী আখড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে ট্রাস্ট গঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে তাদের সামিল করা এবং তাদের ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়ে পুণর্বিবেচনার আর্জি দায়ের করেছিল।
প্রথম পুনর্বিবেচনার আর্জি দায়ের হয়েছিল গত ২ ডিসেম্বর। উত্তরপ্রদেশ জমিয়ত উলেমা ই হিন্দের সভাপতি মৌলানা সৈয়দ আর্শাদ রশিদি ও মূল মামলাকারী এম সিদ্দিকের আইনি উত্তরসূরী। গত ৬ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড সমর্থিত পাঁচ পিটিশন দায়ের করা হয়। ওই দিনই পিস পার্টি অফ ইন্ডিয়াও পুনর্বিবেচনার পিটিশন দায়ের করে।
গত ৯ ডিসেম্বর অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাও পিটিশন দায়ের করে। ওইদিন ৪০ জন শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী যৌথভাবে একটি পিটিশন দায়ের করেন।