নয়াদিল্লি: দিল্লির হাসপাতালগুলিতে কোভিড-১৯ রোগীদের পাশেই মৃতদের জড়ো করে রাখার ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট। রোগীদের চিকিত্সা ও মৃতদেহগুলির প্রাপ্য মর্যাদা সংক্রান্ত বিষয়টি নিজে থেকে থেকে বিবেচনায় নিয়ে শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, মৃতদেহগুলি রাখার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলি যথাযথ যত্ন নিচ্ছে না এবং পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর জানানোও হচ্ছে না। ফলে তাঁরা প্রিয়জনের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে পারছেন না।


বিচারপকি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এসকে কাউল ও বিচারপতি এমআর শাহর বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু সরকারকে নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছে গুজরাতকেও। শুনানিতে আদালত বলেছে,  দিল্লির পরিস্থিতি ‘ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ ও দুঃখজনক’।

আদালত বলেছে, এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা অনুসরণ করা হচ্ছে না এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের রোগীদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখে হাসপাতালের কর্মী ও রোগীদের শুশ্রুষার বিষয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের মৃতদেহগুলি নিয়ে  যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব ও অমর্যাদাপূর্ণ সত্কারের খবর  স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিবেচনায় আনে সুপ্রিম কোর্ট।  প্রধান বিচারপতি কোভিড-১৯ রোগী ও এই রোগে আক্রান্তদের মৃতদেহগুলির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরিস্থিতির বিষয়টি নজরে আনেন এবং এই মামলার শুনানির দায়িত্ব বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে দেন।

এই মামলার শিরোনাম দেওয়া হয়, কোভিড-১৯ রোগীদের যথাযথ চিকিত্সা ও হাসপাতালগুলি মৃতদেহগুলির সঙ্গে মর্যাদামূলক আচরণ এবং শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য হয়।

চার রাজ্যে করোনা চিকিত্সা নিয়ে অসন্তোষপ্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুতে পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ বলে মন্তব্য তিন সদস্যের বেঞ্চের। চার রাজ্যকে নোটিস। চাওয়া হল লিখিত জবাব। শুনানিতে আদালত বলে, সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে রোগীদের দুর্দশা জানছি। মৃতদেহের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। অক্সিজেনের সুবিধা মিলছে না। রোগীদের ভর্তি করতে এদিক-ওদিক যেতে হচ্ছে পরিবারকে। অথচ সরকারি হাসপাতালে বেড খালি রয়েছে।

স্বতঃপ্রণোদিত মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ জুন।