নয়াদিল্লি: ২০১০ সালে কোয়েমবত্তুরের ঘটনা। স্কুলে যাচ্ছিল ১০ বছরের এক কিশোরী এবং তার ৭ বছরের ভাই। যাওয়ার পথে এক মন্দিরের সামনে থেকে ভাইবোনকে তুলে নিয়ে যায় মনোহরণ ও মোহনকৃষ্ণন নামের দুই ব্যক্তি। তারা ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করে। আক্রোশ থেকে রেহাই পায়নি ৭ বছরের কিশোরও। নাবালক এবং নাবালিকাকে প্রথমে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে মনোহরণ ও মোহনকৃষ্ণন। তাতে কার্যসিদ্ধ না হলে  ভাইবোনের হাত বেঁধে খালে ফেলে দেওয়া হয়। আজ থেকে বছর ৯ আগে অক্টোবর মাসের এই ঘটনায় কেপে গিয়েছিল গোটা দেশ। এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় মাদ্রাসের আদালত।  সেই সাজাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালতও।


সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন রায় ঘোষণার সময় জানায়, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। একই সঙ্গে বিচারপতি আর নরিম্যান, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সহমত হন, এই অপরাধ ‘জঘন্যতম’ এবং ‘শিহরিত’ করে দেওয়ার মতো। দেশের শীর্ষ আদালত রায় ঘোষণা করার সময় ২০১২ সালের পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স অ্যাক্ট) আইনের কথাও উল্লেখ করে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় অন্যতম আসামী মোহনকৃষ্ণনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়।